শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, একুশের কন্ঠঃ ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখলী ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা তাহের আলীর ছেলে হারুন অর রশিদ নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে, সৌদি আরবে লোক পাঠানোর ঘটনায় স্থানীয় ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামের তাহের ওতার ছেলে হারুন শনিবার (১৮ নবেম্বর) রাতে তাকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১১ টায় রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন অর রশিদ ইন্তেকাল করেন বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
মৃত হারুনের ছেলে তানবির জানায়, তার পিতা রাজধানী ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতো। গত দেড়মাস আগে বারুয়াখলী ইউনিয়নে ছোট কাউনিয়াকান্দিও মো. তাহের এর ছেলে হারুনকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠায়। হারুন সৌদিতে সঠিক কাজ পাইনি এমন অভিযোগের ভিত্তিতে , তার পিতা তাহের ও ছেলে মো. রতন গত শনিবার রাত ৯ টার সময়, আমার বাবা অসুস্থ্য মাকে নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার পথে, ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামে পৌছানো মাত্র তারা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে।
এসময় বাবার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাহের ও রতন পালিয়ে যায় তখন। বাবাকে মমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তখন তার অবস্থা গুরুতর বলে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তখন আমরা বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমার বাবাকে যারা নির্মমভাবে মারধর করলো তাদের বিচার করা হোক এটাই আমার দাবি।
এ বিষয়ে বারুয়াখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজী রমজানুল হক বলেন, লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মারধরের বিষয়টি মৃতের স্বজনরা পুলিশকে ওই সময় অবগত করেনি। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মৃত হারুন অর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।